শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
Online Edition

কাপাসিয়ায় মৃত্যুর ৩ বছর পর জামায়াত নেতা হলেন নাশকতা মামলার আসামী

কাপাসিয়া (গাজীপুর) সংবাদদাতা : গাজীপুরের কাপাসিয়া থানায় নাশকতা মামলায় প্রায় তিন বছর আগে মারা যাওয়া অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষা কর্মকর্তাকে আসামী করার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের করা মামলায় মৃত ব্যক্তিকে আসামী করায় কাপাসিয়া উপজেল তথা গাজীপুর জেলাজুড়ে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। জানা যায়, গত রোববার (২৯ অক্টোবর) গাজীপুরের কাপাসিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিন বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানার মামলা নং ১৩ তারিখ তারিখ ২৯/১০/২৩ দায়ের করেন। মামলায় ২২ জন আসামীর মধ্যে ১৮ নম্বর আসামী করা হয়েছে মো. আমিন উদ্দিন মোল্লাকে (৬৫)। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের খিরাটি গ্রামের মৃত আশরাফ আলী মোল্লার ছেলে। মোঃ আমিন উদ্দিন মোল্লা নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ছিলেন। অবসরের পর তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।

আমিন উদ্দিন মোল্লার জামাতা মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি আমার শ্বশুর মারা যান। চাকরি থেকে অবসরের পর তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করতেন। মারা যাওয়ার ২ বছর ৯ মাস পর শ্বশুরকে মামলার আসামী করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মৃত্যুর পর কবর থেকে কেউ কীভাবে ককটেল মারলেন তা বুঝতে পারছিনা। মৃত ব্যক্তিকে আসামী করা খুবই দুঃখজনক। মামলার এজাহারে বলা হয়, কাপাসিয়া সদরের তরগাঁও মেডিকেল মোড় এলাকায় বিএনপি ও জামায়াতের উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা অস্থিতিশীল ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য সংঘবদ্ধ হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাদের ফেলে যাওয়া অবিস্ফোরিত চারটি ও বিস্ফোরিত একটি ককটেল উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় চারটি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। মামলার এজাহারে আমিন উদ্দিন মোল্লার বয়স ৪৫ বছর উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ তিনি মৃত্যুর অনেক আগেই চাকরি থেকে অবসর নিয়েছিলেন। মামলার বাদী কাপাসিয়া থানার এসআই সালাউদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি এই থানায় নতুন। এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ বিষয়ে কাপাসিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবু বকর মিয়া বলেন, ১৮ নং আসামী সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া বাবা এবং ঠিকানা একটাই হবে শুধু আমিন উদ্দিনের জায়গায় লোকমান হবে। মামলার বাদী ইতিমধ্যে মামলার সংশোধনের জন্য আদালতে আবেদন করেছেন। গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ বলেন, অন্যায়ভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মামলা হচ্ছে, রাতে বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। নেতাকর্মীদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আবার অনেকেই বাড়িতে যেতে পারছেন না মামলায় গ্রেপ্তারের শঙ্কায়। এমন অবস্থায় কঠিন সময়ের মধ্যেও দলীয় কর্মসূচি পালন করছি আমরা। যতই বাধা আসুক আমরা পেছনে ফিরছি না, হামলা ও মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের মনোবল ভাঙা যাবে না।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ