ডিপ্রেশন বা অবসাদ থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে?
মানুষ অনেক সময় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কী ভাবে অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব সে প্রশ্ন এখন আসছে ব্যাপকভাবে। কতটা শক্তিশালী মনের এই অসুখ? বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রত্যেকের জীবনেই যখন তখন হানা দিতে পারে অবসাদ বা ডিপ্রেশন। দীর্ঘ লকডাউন, মূল্যবৃদ্ধি, চরম অর্থ সঙ্কট, পেশাগত অনিশ্চয়তা, ব্যক্তিগত সম্পর্কের দূরত্ব ইত্যাদি নানা কারণে মন অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারে। কখনও কাজের চাপে, কখনও চাকরির সমস্যা, কখনও সাংসারিক জীবনে অশান্তির কারণ, কখনও পরীক্ষায় ভাল ফল না হওয়া, কখনও অন্যদের থেকে কোনও ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার ভয় আমাদের অজান্তেই মনকে ভারাক্রান্ত করে তোলে। জীবনের যে কোনও মানসিক চাপের কারণে আমাদের ঘিরে ধরতে পারে এই অবসাদ। অবসাদগ্রস্ত ব্যক্তিরা একাকীত্বে ভোগেন বেশির ভাগ সময়। মানসিক স্বাস্থ্যকে অবসাদ এমনভাবে প্রভাবিত করতে পারে, যে আক্রান্ত ব্যক্তি যে কোনও চরম সিদ্ধান্ত মুহূর্তেই নিয়ে ফেলেন। একাকীত্ব, মানসিক যন্ত্রণা, দুঃখ, হতাশা ধীরে ধীরে অবসাদের রূপ নেয়। মনোবিদদের মতে, সাফল্যের শীর্ষে থাকা কোনও ব্যক্তিও একাকীত্ব বা ঈর্ষার কারণে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। গাছের পরিচর্যা, গান শোনা, যোগাসন, ছবি আঁকা, ভ্রমণ ইত্যাদির মাধ্যমে অবসাদ কাটানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন মনোবিদরা। বন্ধুর সাথে শেয়ার করুন কিছু বিষয়, মন প্রফুল্ল থাকবে। মানসিক চাপ ও অবসাদ কাটিয়ে উঠতে প্রতিদিন প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুমের। প্রয়োজনে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাউন্সেলিং করানো যেতে পারে। আবসাদ, মানসিক চাপ কমানোর বেশ কিছু ওষুধও রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ খাওয়া যাবে না। তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট।