এ মোর আর্তি!

নীলু হক
ঐ চাঁদ একটু একটু করে
সময়ের বার্তা পাঠায় ধরায়,
সাওম সাধনা দিন দিন বাড়ে
কালের চক্রে সংখ্যা কমায়,
চাঁদ তার চেহারা পাল্টে পাল্টে
কখনও ২৯কখনও ৩০ পূর্ণে।।
বিনিদ্র রজনী, সময় বয়ে যায়,
ক্ষণ আসেনা ফিরে মুত্তাকীর দুয়ারে,
সময় সওয়ারী সওয়াব তালাশের,
সুযোগে মুমিন পাবে কি ক্ষমা প্রভুর?
হে! রব্বানা,হে!আরশের অধিপতি,
তোমার রহমত ছাড়া নাই কোন গতি
নাম,যশ,খ্যাতি চাইনা প্রগতি ।
তুমি আমার একমাত্র সৃষ্টিকর্তা!
তোমার সন্তুষ্টি আমার কামনা।।
হে আসমান, জমিনের মালিক!
কি চাইব তোমার কাছে?
ভাষা আমার বোবা কান্না, হৃদয় স্তব্দ!
ভাবলেশহীন চোখের পাতা অশ্রু হয়ে
মিনতি জানায়,
পাপের ভান্ডার টুইটম্বুর,পূর্ণ্যের ঘড়া শূন্য,
শূন্য পাত্র ভরতে,ভরা পেয়ালা খালি করতে
তুলেছি দু'খানি হাত
হে !রহমানুর রাহীম,মালিক রব্বানা।।
আমার দুয়ারে অভাব দিয়েছে হানা
ঋণের বোঝা,পাওনাদার ছাড়েনা আনা।
রক্ত ঘাম দিয়ে পরিশ্রম, মজুরি পন্ডশ্রম!
অবশেষে, খুঁজে ফিরি আশ্রম।।
হে,রব্বানা,
মেয়েটিকে দিয়েছিলাম ধনীর ঘরে
নিশিরাতে নাইট ক্লাব আড্ডায় জমে
নন্দজামাই ফেরে শেষে মেয়েটা মরে
দাপটে ঘুরে বেড়ায় ধর্মনিরপেক্ষ ভান্ডারী
লুকিয়ে, পালিয়ে বেড়ায় সত্যে কান্ডারী।।
ইয়া আল্লাহ,
কোন অভিযোগ নেই তোমার দরবারে
মজুরদার, জুলুমবাজ,একই কারবারে
জালিম,মুনাফা লুটে রমযানে বারে বারে
তবুও নেই কোন নালিশ তোমার কাছে।।
ইয়া গাফুরু,
সবর,ন্যায়নিষ্ঠা,সততায় মুত্তাকী বানাও
ইবলিসের কালো থাবা থেকে ফেরাও
রমাযানে হক্ক আদায়ের তৌফিক দাও
অসংখ্য ফরিয়াদির ফরিয়াদ শোন।।
হে!মালিক, মিনতি আমার রাখো
তোমার সন্তষ্টি আমার কাম্য।
রোগ-শোক, দুঃখ-তাপে স্মরণ যেন
তোমারে আগে,
তোমার আসমাউল হুসনা নামে
তাসবীহ্ করে চলে কাজে কামে
এ মোর আর্তি।